দেশের চিতায় ঘি

মহিউল ইসলাম মিঠু
মহিউল ইসলাম মিঠু 46 Views

নির্মল-সরল সফেদ ইউনিফর্ম রক্তে আজকে লাল,
কোমল হাতে ঝুলছে প্ল্যাকার্ড, ‘পুলিশ চ্যাটের বাল’।
চায়নি তো ওরা হাতিঘোড়া কিছু, সামান্যই আবদার,
পথে-মাঠে-ক্লাসে স্বপ্ন ছড়িয়ে ঘরে ফেরার অধিকার।

দিনে দিনে বহু নালিশ জমেছে, জানানোর কেউ নাই
ব্যাগ কাঁধে নিয়ে দ্বিধা ভরা মনে পথে দাঁড়িয়েছে তাই
আশাভঙ্গের অনলে আজ আহা কাদা-মন পোড়া মাটি,
রক্ষকের শোষণে অনন্ত দহনে বিদ্রোহী হয়েছে খাটি।

ব্যাগে বইছে তোমাদেরই দেয়া গভীর জ্ঞানের বোঝা
মহারাজ তুমি সাপ হয়ে কাটো, ফের হয়ে যাও ওঝা।
মুখে শুধু বল, ভবিষ্যৎ ওরা, জাতির আগাম আশা
চোখে কি পড়েনা অব্যক্ত অভিযোগ অক্ষম হতাশা?

স্বপ্নগুলো পথেঘাটে মরুক, আশারা মিলুক ধূলায়
ও মহারাজ, উন্নয়ন নিয়ে সোজা চলে যাও চুলায়!
ভবিষ্যৎ না থাকলে উন্নয়ন দিয়ে করবেটা তুমি কি
তরুনের দেশপ্রেম মরলে দেশের চিতায় ঢেলো ঘি।

Share This Article
মহিউল ইসলাম মিঠু। জন্ম বগুড়ায়। বাবা জহুরুল হক ‘জাহাঙ্গীর’, মা মাজেদা হক ‘কণা’। বাবা সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। চাকুরীর সুবাদে দুয়েক বছর পর পরই বদলি হতেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। বাবার সাথে মিঠু’র শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরের বিভাগের বিভিন্ন শহরে। দশটার বেশি স্কুল-কলেজ বদলাতে হয়েছে। বেড়ে উঠেছেন সারা বাংলাদেশ (প্রায়) জুড়ে। বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বগুড়া থেকে এসএসসি, সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। মহিউল ইসলাম মিঠু কৌতুহলী মানুষ। জানতে ভালোবাসেন। এজন্যই সম্ভবত খুব অল্প বয়সেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। পড়ার অভ্যাসটাই হয়তো ধীরে ধীরে লেখার দিকে ধাবিত করেছিল। বাংলাদেশের প্রথমসারির জাতীয় পত্রিকা, সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটের জন্য লিখেছেন বিভিন্ন সময়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন কিশোর-ম্যাগাজিন ‘আজবদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। অনেকগুলো জনপ্রিয় বই অনুবাদ করে বিভিন্ন স্তরের পাঠকের আস্থা অর্জন করেছেন, জিতে নিয়েছেন ভালোবাসা। তার অনুদিত কিছু বই বিভিন্ন সময় জাতীয় বেস্ট-সেলারের তালিকাগুলোতে ছিল।