পৈঠায় পা রেখে.. খুব ধীরে.. উঠে বসো
জাফরানী রঙের পানসিতে,
খুঁজেছো যা… … অনন্তের নক্ষত্রবীথি
আকুল হয়ে সারা দিনমান
বুনেছি বস্ত্র সুইসুতাহীন নিরস্ত্র… …
পারিনি দিতে;
পাটাতনে বনঘুঘুর ডিম
বাগিচায় খুড়ে পাওয়া কাঠবিড়ালীর জীবাষ্ম,
ভালোবাসায় নিরংকুশ
তন্দুলে মাখানো ছাইভষ্ম;
কথা বলার কিছু নেই
চুপচাপ থাকাটাই ভালো,
গলুই ছুঁয়ে পানকৌড়ির পাখায় ওড়ে
রূপার আলো,
এ সময় আমাদের— অতল নির্জন —
বলা চলে তুমুল নির্বাক,
কান পেতে শোনো
মাস্তুলের ওপর গুঞ্জন করে পোষা মৌচাক;
ভাসছে না
চলছে দনকলস সর্ষের শুভ্রহরিৎ মাড়িয়ে
তালকুঞ্জের ওপর দিয়ে আশ্চর্য এ জলযান,
এ যাত্রায় বাহন আমাদের এমফিবিয়ান;
এসে তো পড়েছি
সোনাঝরা সবুজ সায়র.. ঘাসের গাঢ় রীজে
সুপারির স্মৃতিময় সারি,
ভবের হাটে— মননের মন্দ্র মনসিজে
নাও… এগিয়ে দিচ্ছি পানদান.. হাত বাড়াও
দেখতে কী পাও
তবকে মোড়া রূপালি
সৌরভ ছড়ানো জোড়া সরোবর,
জলে ভাসে আবির মাখা দুটি কাজলা কবুতর।