একটি পাখি মাঝরাতে জানলা বেয়ে নামলো
অট্ট হাসিতে শিউরে ওঠলো ঘুমন্ত মশারি,
শরীর জুড়ে মানচিত্রের গাঢ় সবুজ
পায়ে আর ঠোঁটে রক্ত!
চিত্রকরের আয়াত মুখস্থ তার জিভ।
আমি তাকে চিনি, হাসিটাই কেবল বেতালা।
আমার বন্ধু ,ভূতুড়ে এক শিমুল গাছ থেকে ধরে দিয়েছিলো আমায়,
ঐ টুকু থেকেই ও আকাশ দেখেনি
লোহা শিক ধরেই ওর বেড়ে ওঠা,
আক্রে ধরা লোহার খাঁচা কামড়ানোর অর্থ বা কষ্ট
কোনোটাই আমি বুঝতাম না,
আমার খুব গর্ব হতো পাখিটা আমার!
টের পাইনি ওর শ্বাসকষ্ট, কখনওই পড়ে দেখিনি
ওর চোখে জমিয়ে রাখা প্রতিদিনকার পাণ্ডুলিপি।
আজ আমার লক ডাউন জীবন;
চার পাশটাই ইট আর লোহার খাঁচা
বড্ড শ্বাসকষ্ট এখানে,
চশমায় ঝুলে থাকে ঘোলাটে আকাশ।
এখন বুঝি খাঁচার জীবনের মানে;
বহুদিন পর ওযেন পুরনো প্রেমিক হয়ে এলো
জীবনের ক্ষতগুলো খতিয়ে দেখতে,
নাবলা অনেক কথা হলো, যাবার বেলা শুধু বলে গেলো
“তোমার এ লক ডাউন তুমিই ডেকেছো!”
অবাক হলাম আমি!
তাহলে আমিই কি ডেকেছি এ জীবন, আমারই
অজান্তে?
আমার মুক্তির ঘোর গড়িয়ে পৌঁছলো সুদূর সুব-ই-সাদিকে,
হঠাৎ কানে আসে মুয়াজ্জিন পাখির গান
তখনও আঁধার কাটেনি পৃথিবীর….!