কবি নজরুল
পরিবর্তনের ডাকে
ছিলে উচ্চকিত বারবার।
বিদ্রোহী সত্তারূপে
প্রকান্ড প্লাবনের দুর্বার স্রোত
বারবার ভাসিয়ে দিয়েছিলে
মিথ্যাচার ক্লেদাক্ত কপটতার মুখোশকৃত
আর জঞ্জাল ভরপুর সমাজের
শোষিতের নিযাতনে অবগুন্ঠন কে।
নবজাগরণের উজ্জ্বল
অবিনাশীরূপ নিয়ে
তুমি এসেছিলে কবি।
নুতন সূর্যোদয়ের মতো
অনাচারের মলিনতার পদতলে
পিষ্টপ্রায় নির্যাতিতের
দৃপ্ত অভয় আশ্রয় হলো
তোমার আগমনে।
ভগ্নপ্রায় সন্ত্রস্ত মানব
সভ্যতার জাগরণে
সুর তুলেছিল তোমার
অজেয় অগ্নিবীণা।
তোমার বাণী তে ধ্বনিত হয়েছে
বারবার দৃপ্ত প্রত্যয়ে
সাম্য আর সহনশীলতার
অমিয় বার্তার বহনের প্রচন্ড প্রয়াস।
তোমার বিষের বাঁশী তে
উন্মাতাল উজ্জীবিত এক আহ্বানের সুর বেজেছিল
আশা আর ভালবাসার মূৰ্চ্ছনায়।
কবি তোমার অক্ষয় অমর স্বরূপে
জয়উৎসবে জয়ভেরী বাজবে অহর্নিশ।
সম্প্রীতির আর মানবতার
আনন্দলোক পরিণত হবে আমাদের ভুবনগ্রাম
জানো কবি?
তোমার বসন্তের আহ্বানে
বাগিচার সব বুলবুলি জাগবেই
ফুল সখা কে ডাক দেবে
সুরভিত ভালবাসার ভৈরবী তালে।
চিরঞ্জীব চিরদিনের কবি
এইভাবে সীমাহীন মহাকালের পথে
তোমাকে অনুভব করবে সবাই
সব সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী মানুষ রা
ধূমকেতুর মতো
কিংবদন্তির উজ্জ্বলতায়।