মাথার ওপর একঝাঁক শিমুলফুলের পাপড়ি
পাতায় ঝুলছে ভোর- শিশিরের সঙ্গে মিতালি পাতানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষায়;
একটু বেঁকে, অপ্রতিরোধ্য মূর্চ্ছনায়
বিলিয়ে চলেছ অনাবিল স্নেহবর্তিকা
তা দেখে উল্লাস ছড়াতে ব্যস্ত মাধবিলতা।
ধ্যানমগ্ন ভোরে, ফুলপাপড়ির সমারোহে
কিংবা ফুলগন্ধের ঝামেলায় চেয়ে রয়েছ
তুমি যেন এক ধ্রুপদী মন্দির-
হাজার বছরের বনো পূজালয়
বাঙালির কৃষ্টির উত্তরাধুনিক ভিত।
মাঝেমধ্যে কালচে আর পীত রং
দেখা দেয় তোমার মুখমণ্ডলে কিংবা
ভগ্ন-অভগ্ন বাহুতে শ্যামল কিঞ্চিৎ।
তবুও রাতজাগা পাখি জানালায় উঁকি
মেরে ডেকে যায়, হাওয়াও সরব;
নড়ে উঠে পাতা, রবনিথর সরীসৃপ।
শিশিরের মতো সুখ আসে হৃদয়ে
মনিদুটিতে পাকা ধানের দানা
বাতাসের প্রবহমানতায় কান পেতে
চেয়ে থাকি, থাকবও হাজার বছর-
অপলকে, প্রিয় শহীদমিনার…
ভেতরে বাইরে এখনও চলে অসমাপ্ত
পরিশোধের কঠিন নীলচে অভিশাপ
মননদ্বাররুদ্ধ অস্তিত্বদংশনের বিরুদ্ধে
মুষ্ঠিবদ্ধ বিপ্লবমন্থন আর দ্রোহতান।