পঙক্তি
ঈশ্বর কবেই মৃত তবু তোমার কাছে
জ্যোৎস্নাই চেয়েছি, রাত্রিতে
এ কবিতার সামান্য পংক্তিতে তুমি
আলগোছে বসে ফলে কবিতা
আলোকময় হল, জলের ছলাৎ নিয়ে
যামিনী নৌকোরা প্রহর পেরোয়
বুদবুদের দেশে জানি ঈশ্বর থাকেনা তবু
আলপিনের প্রার্থনা ছিল, যার
মাথাতে চুরমার
সমস্ত চুরমার নিয়ে এ বিদেহী পংক্তিতে
অমাবস্যার কালো, তুমি
হেসে ওঠো কামিনীর ঢঙে, তোমার মুঠোয়
পতিত আঙুল থাকে অবশিষ্ট বিবাগীর, চুলে পুরুষের পোড়া চোখ
জ্যোৎস্নাহীন কবিতার শেষ পংক্তিতে
তোমার নেশা-উড়নি ছড়িয়ে গিয়েছে, দূরে
জলের অবোধ্য কোলাহল
রক্তজালিকা
বেহাগ পংক্তিতে থির হয়ে আছে আর
এত এত মৃতজল.. এত এত বাতাসের শব..
অবিনশ্বর, তুমি তো জানো, ময়ূর ছেড়েছি;
শব্দ রেয়াত করেনি
তুমি জানো, কত নৌকো ভাসিয়েছি, নদী
বাষ্প হয়ে মিশে গেছে
প্রাকৃত সর্বনামের বিষকোশে
মৃত বুকে হাহাকার করেছে ইমেজ
পিঁপড়েরা অস্থির মুখে ডিম নিয়ে বর্ষাদেশে
বিষাক্ত নিঃসঙ্গ নিয়ে
আমি কী পূর্ণযতিতে ফিরে যাব?
কবিতার পূর্বাকাশ থেকে এ ব্রহ্মাণ্ডকে
রক্তজালিকা মনে হয়
শেষ বসন্ত
অতল পেখম তুমি ছড়িয়েছ
কেকাধ্বনি আলো আর অন্ধকারে
এভাবে বসন্ত আসে
এইভাবে বসন্তও এসেছিল অশব্দের চুপে
গাছেরা স্মৃতির স্তম্ভ হয়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেলে
হাজার চাঁদের আলো
মহাকাল বিমূঢ় দেখেছে
অসিদ্ধের মড়াকাটা জ্যোৎস্নায়
পিঁপড়ে
জ্বলন্ত ফোয়ারার পাশেই তুমি
তোমার কি মায়া নেই, মেয়ে?
কুদ্রমুখ ডেকেছে সিসায়
রতিসুখ টেনে নেয় মেঘ বিদ্যুৎসঙ্গমে
বিদ্যুতিন তুহুঁ মম দিব্যখাল কেটে গেছ