স্বাধীনতা তোমারও বয়েস বাড়ছে পঞ্চাশে পা দিলে
কপালের বলি রেখা হয়েছে গাঢ়, চুলে ধরেছে পাক;
আগের চেয়ে অনেক বিজ্ঞ, শান্ত, সৌম্য দৃপ্ত কিন্তু
সবল তোমার বহু, শক্ত পেশী, হাতে খুন্তী শাবল
প্রলয় হওয়া, কম্পিত শাপলা, ব্যাঘ্র হুঙ্কার।
বিশ্বে তোমার প্রবল উপস্থিতি, সূর্যমুখী যাত্রা।
স্বাধীনতা হে স্বাধীনতা কতভাবে চাইযে জানতে তোমাকে তুমি কি এই তুমি কি কি সেই?
তুমি কি পায়ে পায়ে রক্ত ঝরানো ব্যাকুল বেহাগ?
তুমি কি আফ্রিকার বন্য প্রান্তর?
তুমি কি ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি?
স্বাধীনতা তুমি কি বুকে চেপে বসা জগদ্দল পাথর?
তুমি কি শেকল ভাঙ্গা মুক্ত প্রমেথিউস?
তুমি কি পারথেনন, তুমি কি উদাস দুপুরের বাঁশি?
স্বাধীনতা তুমি কি আকাশ ঢাকা সবুজ পতাকা?
রক্ত ফোঁটা রক্ত ফোঁটা ত্রিশ লক্ষ
কামান গোলায় বিমান বোমায় নিরীহ প্রাণী?
ইচ্ছেমত এলোপাথাড়ি গুলি শত্রু সৈনিকের
স্বাধীনতা তুমি কি রক্তে প্লাবিত হৃদয় রঞ্জিত ভালবাসা?
তুমি জনতার বাঁধন ছেঁড়া উল্লাস, যানজট পাতাল সুড়ঙ্গ, হাওয়াই রাস্তা
তুমি কি স্বর্গের সিঁড়ি বেহেস্তের
জল কলতানে ফুরফুরে হাওয়া?
স্বাধীনতা তুমি কি সাধকের বিনিদ্র রাত? তুমি কি নিত্য নতুন সৃষ্টের উন্মেষ নিমিষে নিমিষে?
এখনো আরো অনেকটা পথ হাঁটার তাড়া দিচ্ছ আরো উজ্জ্বল দিনের আহবানে।