সূর্যোদয়
শরীরের ভেতর বৃষ্টি ঝরে
শরীরের ভেতর রোদ ওঠে
শরীরের ভেতরই শরীর আমার পুড়ে পুড়ে যায়
অথচ হৃদয়ে আমার আকাশ নেই
সূর্য নেই
শুধুই আঁধার ।
তবুও চুপিচুপি বলি আজ কান পেতে শোনো
তোমার আগমনই জীবনে আমার
একমাত্র সূর্যোদয় ।
বৃষ্টি
সবকিছু শেষ হয়ে যাবার পরেও
অনেক কিছু বাকি থেকে যায় কখনও কখনও
এই যেমন শীতকাল নয়
তবুও কেমন যেন রোজ ঠান্ডা হয়ে আসছে বুকের পাঁজর ।
মেঘ করেনি, নিম্নচাপ নয় তবুও কেমন যেন মেঘলা আকাশ
আজ বৃষ্টি সারাদিন ।
উপসংহার
তোমাকে দেখবো বলে আমি যখন
পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকি,
স্টেশন চত্বর কিংবা বাজার ঘুরে কিনে আনি ফুলের তোড়া
অথবা হাতঘড়ি বেঁচে পালন করি তোমার জন্মদিন
তুমি তখন ও পাড়ার গৃহবধূ
বিকল হ্যারিকেনে ঢালো কেরোসিন ।
হৃদজমিন
এই শহরে একটুও জায়গা নেই
একটুও ইলেকট্রিসিটি নেই
কতগুলো দিন আর অন্ধকারে রাস্তা মাড়াবে ।
এক’শো বিঘা জমি আবাদহীন
জন-মানবহীন —
কবে তুমি বসত-বাড়ির খোঁজে; খাদ্যের খোঁজে
এসে দাঁড়াবে হৃদয়ে আমার ?