১.
আগুনে পুড়ানো হাত,
 উড়ে চলে আসো,
 উড়ে।
দলবাধা হাঁসগুলি প্যাক প্যাক করে, ইতিউতি যায়, কাকে যেন চায়!
কবুতর জোড়া.
 জোড়া ছানা দিয়ে, ছানাতে দিচ্ছে ওম্।
গভীর শীতের রাতে ঘুমের নুপুর বাজে ঝুম ঝুমা ঝুম।
 উষ্ণতার কাথা গায়ে আসো, ঘুম হবে ঘুম, খুব ভালো ওম ওম ঘুম।
 সারা সারা রাত নারকেল গাছ কাঁদে, জল পড়ে টুপ টুপ
 টিনের চালের শিশিরের শব্দ বলি তাকে — ক্ষুধা বলি না, বলি না বিরহ।
আগুনে পুড়ানো হাত,
 উড়ে চলে আসো,
 উড়ে।
শীতনিদ্রাধ্যানে যেতে দাও বসন্ত নাগাদ।
 সরীসৃপ রাখো, সরীসৃপ।
 পাখি বানিও না, পাখি।
পুরো ডিসেম্বর শুয়ে শুয়ে উড়েছি আকাশে
 কোথাও কোনো মুক্ত জলাভূমি নেই
 নেই বৃহৎ কোনো বনস্পতি
 যেইখানে বসে বসে দেখে নেবো যাদুভূমি, ইচ্ছেমতি দেশ
২.
পথের মোড়ে
 হাত পা লুলা
 এক তরুণ ভিক্ষুক কে দেখেছি
ওর পাশ দিয়ে গেলে
 কচি লাউ ডগার মতো লকলকিয়ে উঠতো
 যেনবা বাতাসে দুলতো
আমি যদি ও হতাম
 তবে বেঁচে যেতাম
 মানুষ দেখলেই হেলতাম
 দোলতাম
 হাত বাড়াতাম
আর দেখতাম
 রিকসার ঘোমটার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসা
 কচি হাতটি
 যে বৃষ্টি ধরছে
৩ .
অনেক অনেক কম রক্তপাতে
 পৃথিবীতে এখন সমাজতন্ত্র আনা
 অবশ্য পালনীয়
কেননা আমপট্টি মোড়ের ফুটপাতে
 একজন গরীব প্রলেতারিয়েত
 হলুদ কলা বিক্রি করেন
তার নাম আমি বলবো না
 কেননা তার নাম আমি জানি না
 ফুটপাত কলা মামাদের নাম ধীরে মুছে যায়
এই মুছা মুছির মধ্যে দোকান গুটানো রাতে
 এখানে একজন কবি আসেন
 তার নাম শহর জানে
 আমিও জানি
তিনি তার কাপড়ের বহু ব্যবহৃত
 জীর্ণ বাজারের ব্যাগটা
 এক হাতে নিঃশব্দে হা করে বাড়িয়ে দেন
 ন্যাতানো নুনুর মতো কলার খোসারা ব্যাগে চলে আসে
নাম না বলা কবি ও অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক কে বলি
 আপনি কি ছাগল বা খাসি পালেন
 হাঁটতে হাঁটতে তিনি হ্যাঁ বলেন
বলি বলি করেও তাকে বলি না
 আপনি কি পালা খাসি কোরবানি দেন
 আসন্ন শ্রেণী যুদ্ধ ভেবে কখনো একটু কাঁপেন
কথার উত্তরের আগেই
 ইজিবাইকে চড়ে
 তিনি আকুয়ার আকাশের দিকে চলে যান
 কলা মামার সাথে তার লেনদেনের সমস্ত রহস্যময়তা রেখে।







 
 


