অনেকদিন ঘড়িটার অসুখ
কাঁটা তিনটে বেসুরো
তৃণভোজ প্রাণীর মতো শুয়ে-বসে জাবর কাটে।
ঘড়ির কাঁটার সাথে সময় ঠিকঠাক লাগছে না,
ফারাক হয়ে খসে যাচ্ছে
ইঞ্জিন থেকে চাকা, গাইতি, হাঁপড় থেকে ডাঁট
আগুন থেকে খসে যাচ্ছে উত্তাপ,
ঘড়ির অসুখে গিলে খায় ঘামেদের জীবন।
পুরনো এ শহরে মেকানিক যারা আছেন
এ রোগের দাওয়াই জানেন না
অন্ধের মতো কানে ঘঁষে আন্দাজে ঝাঁকান, শুঁকে দেখেন।
এর স্বভাবে অভ্যস্ত নয় তারা; বিরল অসুখ,
ছায়া মেপে তবু আর কত সূর্যের জীবন
পাখির ওম প্রসব করে শুধু অসময়।
ঝাঁকঝাঁক পাতা উড়ে যায় গাছের শরীর থেকে
মরে থাকে অসংখ্য হরিণের প্রাণ, মাছের জীবন।
গোধুলীর রঙ মেখে শুয়ে দাবানল; পতঙ্গ বুঝেনা তা,
ঘড়ি তবু চলে সময় চলে না, ঘড়ির অসুখ।
একি তবে “গ্রেভস ওয়াচ!”
হেনরি গ্রেভসের রেখে যাওয়া দুর্ভাগ্য সময়!